নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ধর্ষণের মামলা দায়েরের চার দিন পর ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার যুবতী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সকালে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন ও মদনগঞ্জ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মহসিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে বেলা ১২টায় লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় আরও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, দুই বছর ধরে বন্দর উপজেলার বালিয়াগাঁও এলাকার মৃত জামির খানের ছেলে নুরুল আমিন একই এলাকার দিনমজুরের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে নুরুল আমিন বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
২২ মে সকালে ফের ধর্ষণের পর ওই যুবতী নুরুল আমিনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু নুরুল আমিন বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করে। ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ২ জুন নুরুল আমিনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।আত্মহত্যাকারী যুবতীর মা জানান, থানায় মামলা করার জের ধরে ধর্ষক নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম এবং ধর্ষকের ভাগ্নে রবিবার তার মেয়ের ভিডিও ভাইরাল করেন। এতে লজ্জায় তার মেয়ে গতকাল সকালে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পরে লাশের সুরতহাল তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষিতা আত্মহত্যা করার পর থেকে ধর্ষক নুরুল আমিন ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরালকারী ধর্ষকের স্ত্রী শ্যামলী ও ভাগ্নে পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।