বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোয় সর্বনাশ

সাভারে সড়কে পরমাণু শক্তি কমিশনের তিন কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত

সাভার প্রতিনিধি

সাভারে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত সেফ লাইন পরিবহনের বাসচালক ঘুম চোখে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন বাসটির চালকের সহকারী তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, বারবার সতর্ক করার পরেও তিনি (চালক) আমার কথা না শুনে উল্টো তিরস্কার করেন। আর এ কারণেই  কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তানভীর আহমেদ সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার বাঁ হাত ভেঙে গেছে। আর কেটে গেছে পা। তানভীর আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসটি ঢাকা-কুষ্টিয়া-শৈলকুপা রুটে চলাচল করত। শনিবার সকালে আমরা যাত্রী নিয়ে ঢাকার গাবতলী থেকে শৈলকুপার উদ্দেশে ছেড়ে যাই। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মারুফ হোসেন মুন্না। ওই দিন রাত ১০টায় আমরা শৈলকুপায়  পৌঁছাই। এর এক ঘণ্টা পর আবার ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হই। তানভীর বলেন, শৈলকুপা থেকে রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষণ পর আমাদের গাড়িচালক মারুফ হোসেন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে গাড়ি চালাতে থাকেন। এরমধ্যে একবার গাড়ির চাকা ফেটে যায়। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার গাড়িটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। আমি সতর্ক করার ফলে বারবারই রক্ষা পাই। এর পরও মারুফ ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আর এ কারণেই রবিবার সকালে সাভারের বলিয়ারপুরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তানভীর বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক মারুফ হোসেন মুন্না হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় মারা যায়। সুপারভাইজার সুমনের কোনো খবর জানি না। তানভীর জানান, চালক মারুফ হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর। পরিবার নিয়ে তিনি রাজধানীর লালকুঠি বড় মসজিদের পাশে থাকেন। মারুফের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরিচয়। গত তিন দিন আগে লেগুনা ছেড়ে নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের ব্যানারে বাস গাড়ি চালাচ্ছেন মারুফ। তানভীর আরও বলেন, বাসটির পেছনে ‘সেফ লাইন’ লেখা থাকলেও মূলত এটি চলত ‘নিউ গ্রিন এক্সপ্রেসের’ ব্যানারে। এ কোম্পানির চারটি বাস রয়েছে। মারুফ হোসেনের বাবা ও তার এক বন্ধু ওই পরিবহনের মালিক বলে শুনেছি। আগের পরিচয়ের সূত্র ধরে মারুফের অনুরোধে এক দিনের জন্য আমি তার সহকারীর কাজ করছিলাম। আমি মূলত সাকুরা পরিবহনে হেলপারের কাজ করি। উল্লেখ্য, রবিবার সকালে সাভারের বলিয়ারপুর এলাকায় বাস-ট্রাক ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

এ ঘটনায় ঘাতক সেফ লাইন পরিবহনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেছে সাভার হাইওয়ে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর