শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

মৃতকে অভিযুক্ত করে পুলিশের প্রতিবেদন জারি হয় পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালের হিজলা উপজেলায় ১৫ বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয় আদালতে। তদন্ত প্রতিবেদনেও অভিযুক্ত করা হয় তাকে। আদালত থেকে জারি করা হয় পরোয়ানা। ‘আসামি’ গ্রেফতার করতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে পুলিশ। বেরিয়ে আসে সত্য। ফলে মামলার অভিযোগ থেকে মৃত আসামিকে বাদ দিতে আদালতে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামির বাড়ি না গিয়ে সাক্ষীদের তথ্যের ভিত্তিতে ‘আসামিকে’ অভিযুক্ত করা ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।

হিজলা উপজেলার আবুপুর গ্রামে গত বছর ১২ ডিসেম্বর বিরোধীয় জমির ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে গত ১৬ জানুয়ারি বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় বিচার আদালতে (হিজলা) ২০০৭ সালে মারা যাওয়া আলী হোসেন সরদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা হয়। আদালত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় হিজলা থানার ওসিকে। হিজলা থানার হরিনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। আদালত তাদের প্রতি সমন জারির নির্দেশ দেন। যথা সময়ে আদালতে না আসায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৮ মার্চ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছে ২৫ মে। ২৬ মে হিজলা থানার ওসিকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। গত মঙ্গলবার (৭ জুন) পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামি হাসান সরদার ও তার বাবা আলী হোসেন সরদারের বাড়ি গিয়ে পুলিশ জানতে পারে আলী হোসেন সরদার মারা গেছেন ১৫ বছর আগে ২০০৭ সালে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান হাসান সরদার। বুধবার (৮ জুন) আদালত থেকে জামিন নেন হাসানসহ ওই মামলার ছয় আসামি। তিনজন পলাতক। একই দিন মৃত ‘আসামি’ আলী হোসেন সরদারকে ওই মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দিতে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলকারী উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান। আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, চৌকিদারসহ সাক্ষীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে ১০ আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানতেন না এক আসামি ১৫ বছর আগে মারা গেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ে।

সর্বশেষ খবর