সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি

প্রতিদিন ডেস্ক

দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি

সব নদ-নদীর পানিই দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রংপুর : তিস্তার পানি হুহু করে বাড়ছে। নদীর ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্কতা জারি করে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ত্রাণ বিভাগ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটারে। একই সময় কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে ২৮ দশমিক ৭২ সেন্টমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, ‘পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।’ লালমনিরহাট : তিস্তায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ছুঁইছুঁই। পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বেড়ে ব্যারাজ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার হয়েছে, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুর ২টায় তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বাড়ায় তিস্তাতীরবর্তী ৬৩ চরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে ভাঙন। হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরসিন্দুর্না কমিউনিটি ক্লিনিক হুমকির মুখে রয়েছে।

কুড়িগ্রাম : টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ফের নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে জেলা সদর, রৌমারী, রাজীবপুর ও রাজারহাট উপজেলার ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে।

ব্রহ্মপুত্রসহ তিনটি নদ-নদীর পানি বাড়ায় চর ও দ্বীপচরে অর্ধশতাধিক হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। চিলমারী উপজেলার প্রত্যন্ত চরের দক্ষিণ খাউরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ নদী ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হওয়ার পথে। এ ছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবলে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ : যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ভাঙন। গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৬৫ মিটার; যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চৌহালীতে অন্তত ২৫টি বসতভিটা ও তাঁত কারখানা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু কিছু এলাকায় ভাঙনে জিওব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রেখেছে। তবে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী তিন-চার দিন পানি বাড়া অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনো বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে না।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর