বন্ধুর সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় খুন হন রাকিব হোসেন (২৫) নামে এক যুবক। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল ভোরে রাজধানীর মিরপুর থেকে রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর আগে দস্যুতা মামলায় গত ২৩ মার্চ জেলে যান হত্যা ও অস্ত্রসহ ১৩ মামলার আসামি রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল (৩১)। জেলে থাকতেই সাত বছর আগে পছন্দ করে বিয়ে করা স্ত্রী লাবণ্য সিদ্দিকা সাথী (২৬) তাকে তালাক দেন। পরে সাথী বিয়ে করেন রাসেলেরই ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাকিবকে। জেলে থেকেই খবরটি পান রাসেল। নিমিষেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হয় রাকিব।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, গত ৩১ মে জামিনে ছাড়া পান রাসেল। জেল থেকে বেরিয়েই রাকিবকে খুঁজতে শুরু করেন। ১ জুন কৌশলে রাকিবকে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় উপস্থিত লোকজন আহত রাকিবকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রাসেলকে প্রধান আসামি করে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন নিহত রাকিব হোসেনের বড় ভাই শাকিল হোসেন। সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় জেল থেকে বেরিয়েই বন্ধুকে হত্যার ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে রাসেল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, গত ১ জুন দুপুর ১২টায় নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মের ওভার ব্রিজের ওপর রাকিবকে ছুরিকাঘাত করেন রাসেল। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছে, সাত বছর আগে নিজেদের পছন্দে চক বৌদ্ধনাথপুর এলাকার লাবণ্য সিদ্দিকা সাথীর (২৬) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রেদোয়ান আহমেদ রোজ (৫) নামে একটি সন্তান রয়েছে। জেলে থাকাবস্থায় রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে রাকিবকে বিয়ে করে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেন সাথী। এ ঘটনায় রাকিবের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষতে থাকেন রাসেল।