সদরঘাটে লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে পড়ে পা হারানো খিলগাঁওয়ের মো. কবিরকে চিকিৎসা ও মানসিক ক্ষতি বাবদ ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারির আদেশ দেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, পূবালী-১২ লঞ্চের মালিকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষারকান্তি রায়।
এর আগে ২৯ মে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। নোটিসের সন্তোষজনক জবাব না আসায় আদালতে পা হারানো কবির হাই কোর্টে রিট করেন। রিটে বলা হয়- ঈদুল ফিতরের এক দিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে আসেন কবির। সেদিন যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ ছিল পন্টুনে। পূবালী-১২ নামে একটি লঞ্চ বেশি গতি নিয়ে এসে পন্টুনে জোরে ধাক্কা দেয়। ওই সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। কেটে ফেলতে হয় বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আর শাহজালাল নামে আরেক ব্যক্তির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে ভেঙে যায়।
