বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নাটোরে প্রেমিককে বিয়ে করেই অনশন ভাঙলেন তরুণী

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে দুই দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে বিষ নিয়ে অনশন করা তরুণী পপি খাতুনের (১৯) সঙ্গে অবশেষে প্রেমিক ইকবাল হোসেনের (২২) বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর প্রেমিক ইকবাল ফলের জুস খাইয়ে তার অনশন ভাঙান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজে পড়া অবস্থায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ইকবালের মা তাদের দুজনের বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, যার কারণে ওই তরুণী ইকবালের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় ইকবাল ওই তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেন। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলতেই ইকবাল বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। এ বিষয় নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। তবু বিয়ে করতে রাজি হননি ইকবাল। কোনো উপায় না পেয়ে গত রবিবার বেলা ৩টা থেকে ইকবালের বাড়িতে অনশনে বসেন পপি খাতুন। ওই ঘটনায় সালিশে বসা সভাপতি ও মহারাজপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আবদুল জব্বার বলেন, দুই পক্ষ এলাকার মেম্বার ও গ্রামপ্রধানদের নিয়ে মহারাজপুর দাখিল মাদরাসায় বসেন। উভয় পক্ষের কথা শুনে ওই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কাজী ডেকে তাদের বিয়ে দিয়ে ছেলের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। নাজিরপুর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার নিজের ওয়ার্ডে এমন ঘটনা ঘটেছে প্রথমে বুঝতে পারিনি। যখন জানলাম তখন দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার ব্যবস্থা করেছি। এলাকাপ্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান, বাদী-বিবাদীদের নিয়ে বসে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়েছে। আশা করছি নবদম্পতি সুখে-শান্তিতে থাকবেন। এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, বিষয়টি জানার পর দুই পরিবার নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি এলাকাবাসীকে নিয়ে আলোচনা করে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে পপি তার শ্বশুর বাড়িতে আছেন।

সর্বশেষ খবর