শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি

১২ দিন পরও অন্ধকারে তদন্তসংশ্লিষ্টরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ এবং ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১২ দিন পরও অন্ধকারে তদন্তসংশ্লিষ্টরা। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা ডিভিআর ড্যামেজ হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে সিসিটিভির ফুটেজও। ফলে অগ্নিকাণ্ডের উৎস এবং কারণ সম্পর্কে এখনো অন্ধকারে প্রশাসন।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, ‘এ দুর্ঘটনার উৎস এবং কারণ এখনো জানা যায়নি। এ নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে ডিভিআর সংগ্রহ করা হলেও তা ডেমেজ হয়ে গেছে। এটি নিয়ে কাজ করছে সিআইডি।’

ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ডিপো এলাকার অনেক আলামতই নষ্ট হয়ে গেছে। সিসিটিভির ফুটেজও ড্যামেজ হয়ে গেছে। এত বড় দুর্ঘটনার পর যেভাবে আলামত থাকার কথা ছিল, তার কিছুই নেই।’  সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে চট্টগ্রামের ইতিহাসের অন্যতম বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে নামে দেশের প্রায় সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। গঠিত হয় একাধিক তদন্ত কমিটি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করে তদন্ত কমিটিগুলো। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন- ডিপো এলাকার অসংখ্য আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিপো এলাকা থেকে ডিভিআর সংগ্রহ করা হলেও তা সম্পূর্ণরূপে ডেমেজ হয়ে গেছে। এখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফুটেজগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে ফরেনসিক টিম। ফুটেজ উদ্ধার করা সম্ভব হলে জানা যাবে ওই দিনের বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ।’ প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ৪৯ জন। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। আহতরা ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতদের মধ্যে ১৯ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

সর্বশেষ খবর