শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

গরিবের চিকিৎসক বুলবুল হত্যার হোতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গরিবের চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত আহমেদ মাহি বুলবুল হত্যার ৮১ দিন পর ঘটনার হোতা রিপনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার ঝালকাঠি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের অন্য চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল সংস্থাটি। রিপন ও তার অন্য সহযোগীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করত বলে জানায় ডিবি। এ মামলায় এ নিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।

গতকাল ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, রিপন স্বীকার করেছেন তিনি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বুলবুলের উরুতে ছুরিকাঘাত করেন। এ হত্যা মামলায় আগে গ্রেফতার চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিপনের নাম উঠে আসে।  রিপন ছিনতাইকারী দলের প্রধান। ডা. বুলবুলের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে পাঁচজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। রিপনও ধারালো ছুরি দিয়ে বুলবুলকে আঘাত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বুলবুলকে হত্যার পর রিপন ঝালকাঠির নলছিটিতে গ্রামের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

গত ২৭ মার্চ ভোরে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় ছিনতাইকারীদের হাতে দন্ত চিকিৎসক বুলবুলকে হত্যার ঘটনায় গত ৩০ মার্চ চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন- আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয় (৩৯), সোলায়মান (২৩), রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল (২৭) ও রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫)। আদালতে দেওয়া ওই চার আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তারা পাঁচজন গত ২৬ মার্চ রাত ২টা থেকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছিলেন। ডা. বুলবুল রিকশায় করে পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচারের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তার গতিরোধ করেন। এ সময় দলনেতা রিপনসহ অন্যরা বুলবুলের কাছে যা আছে, তা দিয়ে দিতে বলেন। বুলবুল দিতে রাজি না হলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে বুলবুলকে প্রথমে ছুরিকাঘাত করেন রিপন।

এদিকে বুলবুলের স্বজনরা জানিয়েছিলেন, গত ২৭ মার্চ ভোরে বুলবুল নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশায় করে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। পথে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে ছিনতাইকারীরা তার উরুতে ছুরিকাঘাত করেন। পরে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসের চালক ও হেলপারের সহযোগিতায় বুলবুলকে প্রথমে স্থানীয় আল হেলাল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর