শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
টিআইবির প্রতিবেদন

বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধায় ঘাটতি রয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, ‘প্রজ্ঞাপন জারি করে    বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বীরাঙ্গনাদের চিহ্নিত করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নানা ঘাটতি রয়েছে’।

গতকাল ‘বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করে সংস্থাটি। এই সংকট উত্তরণে ১০ দফা সুপারিশ প্রদান করেছে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান।

প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট-কোয়ালিটেটিভ রাবেয়া আক্তার কণিকা। এই গবেষণাটি তত্ত্বাবধান করেছেন একই বিভাগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম। এ বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয় উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহের পর বিশ্লেষণ করে গুণগত পদ্ধতিতে গবেষণাটি সম্পন্ন করা হয়েছে। গবেষণার ফল থেকে দেখা যায়, বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া যেখানে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। কিন্তু সেখানে পরিকল্পনাহীনতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার ঘাটতি, কাঠামোগত জটিলতা, অনিয়ম-দুর্নীতির সুযোগ, জবাবদিহি ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও সামাজিক সচেতনতা ও সংবেদনশীলতার ঘাটতি রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতিবাচক মনোভাবের কারণে বীরাঙ্গনারা এখনো প্রান্তিকীকরণের শিকার। বীরাঙ্গনাদের নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ও নারী বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক কাজ থাকলেও তা নারীবিষয়ক অন্য যে কোনো কাজের তুলনায় বেশ অপ্রতুল। বীরাঙ্গনাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও অধিকার প্রদানের এই প্রক্রিয়াটি গতানুগতিক প্রক্রিয়া থেকেও ভিন্ন হলেও এই প্রক্রিয়াটি গতানুগতিক আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতিনির্ভর হয়ে আছে।

সর্বশেষ খবর