শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

গর্ভাবস্থায় বিচ্ছেদ আদালতে আবার বিয়ে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জেরে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। বাচ্চা প্রসবের পর আদালতের শরণাপন্ন হয় মেয়েটির পরিবার। স্বামীকে কারাগারে পাঠান আদালত। ১০ দিন কারাবাসে থাকতে হয় তাকে। আট মাসের বাচ্চা কোলে নিয়ে আদালতেই লাল শাড়িতে বধূ সেজে পুনরায় বিয়ে হয়েছে তাদের। বুধবার বিকালে এমন বিয়ের আয়োজন হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীরের কক্ষে। দুই পরিবারের সম্মতি ও উপস্থিতিতেই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হুমায়ন কবীরের সিদ্ধান্তে পুনরায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। দুই পরিবার ও আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা গ্রামের মৃত এনামুল হকের ছেলে মো. নাদিম আলী (২৭) ও একই উপজেলার রাজারামপুর উপরটোলা গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে শিউলী খাতুনের (১৯)। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণে শিউলীর পেটে ৭ মাসের বাচ্চা থাকা অবস্থায় তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তবে নাদিম আলীর দাবি, পেটে বাচ্চা থাকার বিষয়টি বিয়ে বিচ্ছেদের সময় জানানো হয়নি। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে মনোমালিন্য শুরু হওয়ার একপর্যায়ে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তবে সে সময় জানতাম না যে, স্ত্রী গর্ভবতী। আদালত দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। বাচ্চার কথা ভেবে আদালতের এই সিদ্ধান্তে উভয় পরিবারই খুশি। সুখে-শান্তিতে সংসার করতে চাই। ৮ মাসের শিশু সন্তান আজিম ও নিজেদের সংসারের জন্য সবার দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি। দুই পরিবার ছাড়াও বাদি ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, বিধি অনুযায়ী সন্তান গর্ভে থাকলে বিয়ে বিচ্ছেদ হয় না। কিন্তু এখানে তা করা হয়েছিল। পরে মেয়ের পরিবার আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালতের হস্তক্ষেপে লাল শাড়ী পরিয়ে বধূ সাজিয়ে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়। এতে আদালত নিষ্পাপ সন্তানকে ফিরিয়ে দিয়েছে তার হারানো পিতৃস্নেহে। ৫০ হাজার ৫০০ টাকা  দেনমোহরে নাদিম ও শিউলীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। যার মধ্যে ১০০ টাকা নগদ দেনমোহর ছিল বলে জানান আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

সর্বশেষ খবর