শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট আমাদের শঙ্কিত করছে

শামস মাহমুদ

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট আমাদের শঙ্কিত করছে

ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি করেছে সাপ্লাই চেইনে। আমাদের এখানে যে পণ্য আসতে সময় লাগত ১৫ দিন এখন সেটা দুই মাস লেগে যাচ্ছে। বিশ্বে কটন যথেষ্ট আছে। কিন্তু সেটা যদি নিয়ে আসতে সময় লাগে দুই মাস, তাহলে আমাদের  উৎপাদন ঠিক থাকে না। আর রপ্তানি করব কীভাবে। এ সংকট সব ক্ষেত্রেই পড়েছে। যেটা আমাদের শঙ্কায় ফেলেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে শামস মাহমুদ বলেন, সমগ্র বিশ্ব খাদ্য ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সেই প্রভাব আঁচ করা যাচ্ছে। যা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনা জরুরি। বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের মুখে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এতে দেশে দেশে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশে তার প্রভাব সরাসরি পড়ছে। পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একদিকে বাড়ছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। তিনি আরও বলেন, এসব কারণে দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে। সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে এখন পর্যন্ত তা ঠিক আছে বলে মনে করি। তবে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলে সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে সে আশঙ্কা এখনো আছে। আমাদের বড় একটি সুবিধা আছে খাদ্যপণ্যের বড় অংশ দেশে উৎপাদন হয়। তবে রপ্তানি ঠিক রাখতে হলে অন্যান্য খাতে নজর না দিলে সংকট বাড়বে। খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে। কৃষক যাতে উৎপাদনে আগ্রহী হয়, সে জন্য ভর্তুকি আরও বাড়াতে হবে। সেচ, বিদ্যুৎ, বীজ, কীটনাশক এবং মাড়াই যন্ত্রপাতি সহজলভ্যের মধ্যে রাখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর