নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজে পুলিশের সঙ্গে গতকাল ছাত্র ও স্থানীয় জনতার সংঘর্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে শিক্ষক-ছাত্র, স্থানীয় বাসিন্দাসহ এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ ও দুজন শিক্ষকের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন ছাত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গেছে, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে প্রণাম জানিয়ে কলেজের এক ছাত্র ফেসবুকে পোস্ট দেয়। কলেজের কয়েকজন ছাত্র ওই ছাত্রটির বিচার চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে নালিশ করে। এরপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, অধ্যক্ষ ওই ছাত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এতে ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন স্থানীয় বাসিন্দারাও কলেজে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর বলেন, অধ্যক্ষ ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন, এমন গুজব ছড়ায় অধ্যক্ষের বিপক্ষের লোকেরা। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়। জানা গেছে, ওই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় শুক্রবার রাতে ফেসবুকে নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু কথা লিখেছিল। শনিবার সকালে রাহুল কলেজে এলে ছাত্ররা তাকে ফেসবুকের পোস্টটি মুছে দিতে বলে। সে পোস্টটি মুছতে রাজি না হওয়ায় কয়েকজন মুসলিম ছাত্র উত্তেজিত হয়ে অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে নালিশ করে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়ে রাহুল ও অধ্যক্ষকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
সর্বশেষ খবর : রাহুল ও অধ্যক্ষ থানা হেফাজতে আছেন। এক পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
