সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

খুনের পর নিজেই করলেন মাইকিং

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার পর নিজেই মসজিদের মাইকে স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘোষণা দেন। ঘাতক শাহ আলম এর আগেও একটি হত্যাকান্ড  ঘটিয়েছেন এবং ওই হত্যা মামলার আসামি বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মাফিয়া বেগম। শুক্রবার বিকাল ৪টায় বন্দর উপজেলাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগ  এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের মেয়ে লিপি চারজনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন- কলাবাগ এলাকার আবদুল আউয়াল, ছেলে শাহ আলম, মির্জা আলম ও নুরনবী। স্থানীয়রা জানান, আবদুল আউয়াল মিয়ার চাচাতো বোনের মেয়ে নিহত মাফিয়া বেগম। মাফিয়া বেগমের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো আবদুল আউয়াল ও তার ছেলেদের। তারা নিহত মাফিয়া বেগমকে মারধরও করত হরহামেশা। শুক্রবার বিকালে কাঁঠাল নিয়ে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হলে রাস্তায় আসামাত্র শাহ আলম লাঠি দিয়ে নিহত মাফিয়া বেগমের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তার বাবা আবদুল আউয়াল মিয়া ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন কিন্তু ছেলেকে বাধা দেননি। শাহ আলমের লাঠির আঘাতে মাফিয়া বেগমের মৃত্যু হয়। হত্যাকা  ধামাচাপা দিতে হত্যাকারী শাহ আলম নিজেই কলাবাগ জামে মসজিদের মাইকে স্বাভাবিক মৃত্যুর খবর দেন। পরে লাশ গোসলের ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং শাহ আলমসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোহসীন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠান। নিহতের মেয়ে লিপি জানান, ‘কাঁঠাল নিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে মাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে আউয়াল গং। আমরা নিরীহ দেখে সারা জীবন তারা আমার মাকে নির্যাতন করত। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই’। তিনি আরও জানান, ‘এর আগেও সাবদী বাজারে হাফেজ আনিছকে কুপিয়ে হত্যা করে শাহ আলম। সে আবারও একটি খুন করবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। আমরা চাই খুনের বিচার হোক’। বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর