সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

তারেক-জোবাইদার পলাতক থাকা প্রশ্নে আদেশ ২৬ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান পলাতক কি না এবং তাদের পক্ষে আইনজীবী শুনানি করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে আগামী ২৬ জুন আদেশ দেবেন হাই কোর্ট। গতকাল এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালতে তারেক-জোবাইদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী,  জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে থাকতে আইনের মধ্যে থেকেই জামিন নিয়েছেন। জামিনে থাকা অবস্থায় তিনি দেশের বাইরে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু মামলা পেন্ডিং আছে। আমি বলব, রাজনৈতিকভাবে এত দিন পরে মামলাটি উত্থাপন করা হয়েছে।’

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন, জোবাইদা রহমান পলাতক। কাজেই উনার পক্ষে শুনানির করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু তারা বলছেন তারেক রহমান পলাতক নন। তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা, এ ছাড়া একটি অর্থপাচার মামলাসহ তিনটি মামলায় তারেক রহমানের সাজা হয়েছে। এ তিন মামলায় তিনি পলাতক আছেন। তাকে খুঁজছে পুলিশ। এ অবস্থায় হাই কোর্টে যখন তিনি মামলা করেছেন, তখন হয়তো তিনি পলাতক ছিলেন না। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় এ মামলায় তার পক্ষে শুনানি করার কোনো সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। এতে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। দুদক এ মামলা করার পর একই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আলাদা রিট আবেদন করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এরপর আসামিরা এ মামলা বাতিলের আবেদন করলে হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। এক যুগের বেশি সময় পর গত এপ্রিলের মাঝামাঝি তারেক ও জোবাইদার ওই মামলার রুল শুনানির জন্য হাই কোর্টের কার্যতালিকায় আসে।

সর্বশেষ খবর