বুধবার, ২২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
সারা দেশে খুনোখুনি

পাবনার আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

পাবনার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউপিতে আক্কাস আলী (৭০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আক্কাস আলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধারাই গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। গতকাল সকালে পাবনা ও রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী গোয়ালন্দ থানার রাখালগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আক্কাস আলী একসময় চরমপন্থি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে সরকারের আহ্বানে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। গোয়ালন্দ থানার রাখালগাছি এলাকায় একটি রাস্তা ভরাট কাজ নিয়ে আক্কাস আলীর পূর্ব বিরোধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই বিরোধের জেরেই গতকাল সকালে নদীর ওপার থেকে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। ওসি আরও জানান, আমিনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যেহেতু ঘটনাস্থল গোয়ালন্দ থানার অন্তর্ভুক্ত, সে কারণে ওই থানার পুলিশ এসে লাশ গ্রহণ করে সুরতহাল প্রতিবেদন করেছেন। তারাই পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান কোরমান আলী সরদার জানান, আক্কাস আলী দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। সম্প্রতি, তিনি রাখালগাছি গ্রামে মাটি ভরাটের কাজ পান। সম্ভবত কাজ না পেয়ে রাজবাড়ীর কিছু সন্ত্রাসী দল তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ সময় একটি ট্রলারযোগে এসে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। তারা আক্কাস আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে পুনরায় ট্রলারযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আক্কাস আলী তার ইউনিয়নের রাখালগাছি এলাকায় নদীর তীরে অবস্থান করছিলেন। গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্গম এলাকার। খবর পাওয়ার পর গোয়ালন্দ থানা পুলিশ লাশ গ্রহণ করে রাজবাড়ী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, রাজবাড়ী জেলার সীমান্তবর্তী পাবনার ঢালারচর একসময় চরমপন্থি অধ্যুষিত দুর্গম চর ছিল। চরমপন্থিদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এখানে প্রায়শই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটত। তবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় চরমপন্থি সন্ত্রাস কমলেও, নদী  চরকেন্দ্রিক কয়েকটি চাঁদাবাজ চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর