বুধবার, ২২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
ফের ১৪ দিনের জেলহাজতে প্রেরণ

ভারতে পি কে হালদারের প্রচুর সম্পদের সন্ধান

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতে পি কে হালদারের প্রচুর সম্পদের সন্ধান

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি) জানায়, গতকাল শেষ দফায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত থাকাকালে বেনামে পি কের প্রচুর সম্পত্তির সন্ধান, ৮০ লাখ রুপি নগদ ও একটি ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে। এ ফ্ল্যাট কেনার সব টাকা দিয়েছেন পি কে হালদার। যাকে দেওয়া হয়েছে ওই ব্যক্তি বর্তমানে কর্ণাটক অবস্থান করছেন। তাকে ধরতে তল্লাশি চলছে। স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩-এ এ মামলায় মূল অভিযুক্ত পি কের সহযোগী তার ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে তোলা হয়। কিন্তু উত্তম মৈত্র ও স্বপন মৈত্রের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকলেও প্রায় ৪০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী উপস্থিত না থাকায় বিচারক জীবন কুমার সাধু একসময় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সব শেষে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ৫ জুলাই ফের অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে। এ সময়ে কারাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। ইডির হাতে গ্রেফতার এ ছয় অভিযুক্তের মধ্যে পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত বন্দি রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, বাকি নারী অভিযুক্ত আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকেই তাদের আদালতে আনা হয়।

কিন্তু আদালতে তোলা বা শুনানি শেষে আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার পথে অভিযুক্তদের কেউই মুখ খোলেননি।

শেষবার ৭ জুন আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তদের এবং তাদের প্রত্যেককেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। সে মেয়াদ শেষেই গতকাল ফের আদালতে তোলা হয়। ১৪ মে অশোকনগর, কলকাতাসহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেন ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ইডির কর্মকর্তারা। এরপর কয়েক দফায় রিমান্ড ও জেল হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, পি কেকে জেরা করে কলকাতা এবং তার আশপাশে বহু সম্পত্তি পাওয়া গেছে। যেগুলো বেনামে কেনা হয়েছে। সেসব মানুষকে শনাক্তকরণের কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘এ রকম প্রায় ৪৫টি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে যেগুলো প্রাণেশ কুমার হালদারের নামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, পরবর্তীতে সেই সম্পত্তি আবার সুকুমার মৃধার নামে স্থানান্তরিত করা হয়।’ আইনজীবী আরও জানান, পি কে হালদার ও তার ভাইদের নামে ভারতে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে একাধিক বাংলাদেশির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে অর্থ জমা করা হয়েছে। সেই জমাকৃত অর্থের রসিদও পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে আত্মসাৎ করা অর্থই ভারতীয় ব্যাংকে জমা করে তা পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর