বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক কিশোরীকে (১৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন- বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবু দারদাহ ওরফে বাপ্পী (২৫) এবং কবিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো. সবুজের ছেলে হৃদয় (২৮)।
এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর আগে গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকার রোকেয়া এভিনিউ ভবনের নিচতলায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর মা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন। তার দোকানে কেনাকাটা করার সুবাদে তার সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। তারপর বিয়ের কথা বলে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ১৬ জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। কিশোরী সেখানে গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিল করেছেন। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
