সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
ডিজিটাল সনদ-আইডি কার্ড

প্রথম পর্যায়ে পাচ্ছেন ৩৭ হাজার ৯১ জন মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) পাচ্ছেন ১৩ জেলার ৩৭ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা। শুরুতে এ পরিমাণ দিলেও আগামী দুই মাসের মধ্যে দুই লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার সবাইকে ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড দেওয়া হবে।

গতকাল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড প্রদান, চিকিৎসাসেবা প্রদান, সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত বুকলেটের মোড়ক উন্মোচন এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক  মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বহুল প্রত্যাশিত ডিজিটাল সনদ এবং আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে আমরা ১৩টি জেলার ৩৭ হাজার ৯১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড বিতরণ করছি। জেলাগুলো হচ্ছে- গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নড়াইল এবং গাজীপুর। তিনি বলেন, বাকি জেলাগুলোর প্রিন্টিং কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে বাকি সবার কাছে ডিজিটাল সনদ ও আইডি কার্ড পৌঁছাতে পারব। আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অধিকাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও আইডি কার্ড আমরা পেয়েছি। একসঙ্গে বিতরণ করা সম্ভব নয়। আমরা ধাপে ধাপে পৌঁছে দেব। মৃত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের কাছে শুধু সনদ পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সনদ ও আইডি কার্ড উপজেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ করতে হবে। সনদ ও আইডি কার্ডে ১৪ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টাকা জাল করা যতটা কঠিন, এর চেয়ে বেশি কঠিন হবে এ সনদ ও আইডি কার্ড জাল করা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতাল এবং ঢাকার ২২ বিশেষায়িত হাসপাতালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া আছে। হাসপাতালগুলো অতিরিক্ত অর্থ চাহিদা দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা নীতিমালা অনুযায়ী সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর