শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বেড়েছে আদা-রসুন-পিঁয়াজ ডিমের দাম, কমেছে মুরগির

নিজস্ব প্রতিবেদক

দাম বেড়েছে আদা, রসুন, পিঁয়াজ, আলু, সবজি ও ডিমের। অন্যদিকে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে আগের সপ্তাহের চেয়ে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। সপ্তাহ ধরে পণ্যের দর বেড়েছে তার কোনো কারণ কেউ বলতে পারেনি। ক্রেতারা বলছেন ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক দাম বাড়িয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের ৫০ টাকা, বরবটি ?৮০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা কেজি। এ ছাড়া এসব বাজারে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা। শুকনো মরিচের কেজি ৪০০ টাকা। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পিঁয়াজের দাম বেড়েছে, কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

ঈদকে সামনে রেখে দাম বেড়েছে আদা-রসুনের। দেশি রসুনের কেজি ৪০-৪৫ টাকা, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। আদার দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা।  প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি মশুরের ডালের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। আমদানি করা ইন্ডিয়ান মশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। সযাবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকা। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। হাঁসের ডিমের দামও বেড়েছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। তবে অপরিবর্তী দেখা গেছে গরুর মাংসের দর। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কমে কেজি ১৪০-১৫০ টাকা হয়েছে। সোনালি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা। লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়।

চট্টগ্রামে সবজির বাজারেও অস্থিরতা : গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী মার্কেট ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে সবজির দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা অস্বস্তি দেখা গেছে। নিত্যপণ্যের দামের পাশাপাশি সবজির বাজারেও দাম বেশি দেখে পছন্দের সবজির কিনতে সাহস করছেন না সাধারণ ক্রেতারা। প্রায় প্রতিটি বাজারে কমবেশি প্রতি কেজি শসা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০-৮৫, করলা ৭০-৮০, লাউ প্রতি পিস (ছোট-বড় ৫০-৮০), চাল কুমড়া পিস ৪০-৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০, বরবটি ৬০-৮০, চিচিঙ্গা ৫০-৬০, পটল ৫০-৬০, কচুর লতি ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৫০-৫৫ এবং পেঁপে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি রুই-কাতল আকারভেদে ৩০০-৩৫০, তেলাপিয়া-পাঙাস ১৫০-১৮০, শিং মাছ ৩০০, শোল ৪০০, কই মাছ ১৮০-১৯০ ও পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০-৪০০, বোয়াল ৪০০, সিলভার কার্প ২০০, সমুদ্রের কোরাল ৪০০ ও মাগুর ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০, সোনালি মুরগি ২৯০ ও লেয়ার ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর