শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানোর অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আমিরাবাদ ফজলুল হক পাইলট ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আমিরাবাদ ফজলুল হক ইনস্টিটিউটের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিপুল কুমার দত্ত শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ১১ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ছুটি নেন। ছুটি শেষে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে প্রধান শিক্ষক মাজেদা সুলতানা তাঁকে যোগদান করতে দেননি। বিষয়টি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের মিয়াকে জানানো হলে তিনি গুরুত্ব দেননি। বিপুল কুমার দত্ত অভিযোগ করে বলেন, ১২ জুন প্রধান শিক্ষক মাজেদা সুলতানা তাঁকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকিও দেন। পরে বিপুল কুমার দত্ত জানতে পারেন, প্রধান শিক্ষক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার পর নিজেই পদত্যাগপত্র লিখে নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিপুল কুমার দত্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে চাকরি পুনর্বহালের দাবিও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাজেদা সুলতানা বলেন, ‘বিপুল কুমার দত্ত ১২ জুন অসুস্থতার কারণে আমার কাছে স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমি তাঁকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিইনি। তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা অসত্য ও বানোয়াট। স্বেচ্ছায় তাঁর পদত্যাগের কারণে আমরা তাঁর স্থলে নতুন একজন শিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দিয়েছি।’ এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘বিপুল কুমার দত্ত স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেদিন আমি নিজে স্কুলে উপস্থিত ছিলাম।’ সদরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ জামসেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর