শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

বগুড়ায় সৌদির আজোয়া খেজুর

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় সৌদির আজোয়া খেজুর

সবুজ রঙের খেজুর এখন লাল, থোকায় থোকায় ঝুলে আছে। মপ খেজুরের নাম আজোয়া। বগুড়ায় প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের আজোয়া খেজুরের ফলন ধরেছে। জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার আমড়া গোহাইল গ্রামের আলহাজ আবু হানিফার বাগানে একনজর খেজুর দেখতে সাধারণ মানুষ ভিড় করছে। এক জমিতে বিভিন্ন জাতের নানা ফল চাষ করায় ব্যাপক সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তার খেজুর চাষের সফলতার পর স্থানীয় অনেকেই সৌদি আরবের আজোয়া জাতের খেজুর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বগুড়ার কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের বেশির ভাগ সময় এখন গরমকাল থাকছে যে কারণে সৌদি আরবের আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেজুর চাষ করা সম্ভব। জানা গেছে, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আমড়া গোহাইল গ্রামের আলহাজ আবু হানিফা ২০১৮ সালে হজে যান। হজ থেকে ফেরার সময় বেশ কিছু আজোয়া খেজুরের বীজ সংগ্রহ করেন। বীজগুলো দেশে নিয়ে এসে ২০১৯ সালে প্রথমে তিনি ১৯টি বীজ টবে রোপণ করেন। এর মধ্যে ১৬টি বীজের চারা বের হয়। টব থেকে তুলে নিজের ৯ শতক জমির মধ্যে আজোয়া খেজুর রোপণ করেন। ওই ৯ শতক জমির মধ্যে তিনি কামরাঙ্গা, মিষ্টি তেঁতুল, আপেলকুল, বারোমাসি আম বারি ফোর, মাল্টা, ত্বীন ফল, জামরুল, দারুচিনি, লিচু, বড়ই, পেঁপে, থাই পিয়ারা, লেবু, আলু বোখারার চাষ করেছেন। এখন তার বাগানের প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। মিশ্র বাগান গড়ে যেমন সফলতা পেয়েছেন ঠিক তেমনি আজোয়া জাতের খেজুর চাষ করেও তিনি সফলতা পেয়েছেন। খেজুরগুলো পাকলে তিনি বিক্রি করবেন, না চারা তৈরি করবেন- সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। খেজুর বাগানে খেজুর ধরায় স্থানীয়রা সেই খেজুর বাগান দেখতে ভিড় করছেন। স্থানীয় চাষিরা বীজ সংগ্রহের জন্য ধরনা দিচ্ছেন। বেকার যুবকরা আবু হানিফার কাছে আজোয়া খেজুর চাষের কলাকৌশল জেনে নিচ্ছেন। ॥আলহাজ আবু হানিফা জানান, ২০১৮ সালে হজ থেকে ফেরার সময় যেসব বীজ নিয়ে এসেছিলেন তা প্রথম দিকে চারা হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। টবে চারা করার পর তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতা গ্রহণ করেন। পরে ২০১৯ সালে সেগুলো মাটিতে রোপণ করেন। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গাছগুলো। সেই গাছগুলোর মধ্যে একটিতে প্রায় ২০ মাস পর খেজুর ধরেছে। বর্তমানে গাছে যে দুটি থোকায় খেজুর ধরেছে তাতে আনুমানিক ১? কেজি খেজুর পাওয়া যেতে পারে। তবে পরের বছর এর চেয়ে তিন গুণ বেশি খেজুর পাওয়া যাবে। খেজুরগুলো সব সময় নেট দিয়ে রাখতে হয়। আজোয়া খেজুরগুলোর পাকানোর জন্য তিনি প্রতিদিন গাছের যত্ন করেন। ভবিষ্যতে আরও বড় খেজুর বাগান করার চিন্তা রয়েছে তার।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর