মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

গেল জুনে সারা দেশে ৪৭৬ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮২১ জন। গতকাল রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- নিহত ৫২৪ জনের মধ্যে শিশু ৭৩, নারী ৬৮ জন। এ সময় ১৯৭ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ২০৪ জন। যা মোট নিহতের ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মোট দুর্ঘটনা বিবেচনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২.১৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী নিহত হন। যা নিহতের ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হন ৮৬ জন অর্থাৎ ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এই সময়ে আট নৌদুর্ঘটনায় নয়জন নিহত, ১৬ জন আহত ও তিনজন নিখোঁজ হন। ১৮ রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও চারজন আহত হন। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ভোরে, ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ সকালে, ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ দুপুরে, ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বিকালে, ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ সন্ধ্যায় ও ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ ঘটেছে রাতে। দুর্ঘটনার বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৬ দশমিক ৫২ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮ দশমিক ২০ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাণহানি ২ দশমিক ৬৭ শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্রাণহানি ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ ও প্রাণহানি ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। রাজধানীতে ১৪ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ছয়জন আহত হন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংগঠনটির বিজ্ঞপ্তিতে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ১০টি সুপারিশে বলেছে, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে। বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে হবে; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; রেল ও নৌ পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর