কক্সবাজারের পর্যটন জোনের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে ‘পেছনে হাত মোড়ানো অবস্থায়’ অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পরিচয়দানকারী পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, দম্পতি পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়া ওই নারী ও কথিত স্বামীর নাম এবং ঠিকানা নিবন্ধন খাতায় নথিভুক্ত করা হয়নি। এমন কি হোটেলটিতে নেই কোনো সিসি ক্যামেরা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আতিকুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুর ১২টায় কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকার আবাসিক হোটেল ‘নির্জন রিসোর্ট’ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীর নাম ও পরিচয় জানা না গেলেও তার বয়স আনুমানিক ২৫/২৬ বছর হবে বলে জানান এ উপপরিদর্শক। এসআই মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, হোটেল-মোটেল জোনের ‘নির্জন রিসোর্ট’ নামের এক আবাসিক হোটেলের (কটেজ) কক্ষে অজ্ঞাতনামা নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেলটির ৬ নম্বর কক্ষের ভিতর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নারীটির দুই হাত পিছনে ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে রেখে হোটেল কক্ষের খাটে শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। হোটেল কক্ষটির দরজা বাহির থেকে খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। আতিকুল ইসলাম বলেন, শরীরের কোথাও স্পষ্ট আঘাতের কোনো ধরনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কথিত স্বামী পরিচয় দিয়ে হোটেল কক্ষে ওঠা ব্যক্তি ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাতে আতিকুল ইসলাম বলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়া ওই নারী ও পুরুষের নাম-পরিচয় কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করেনি। এ ছাড়া হোটেলটিতে কোনো ধরনের সিসি ক্যামেরাও নেই। এসআই আতিকুল জানান, আলামত সংগ্রহের পাশাপাশি হত্যার কারণ জানতে পুলিশে বিশেষজ্ঞ ইউনিটের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। এরপর নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হোটেলটির ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ৩টায় দম্পতি পরিচয়ে কক্ষ ভাড়া নেন। ভোররাত হওয়ায় হোটেলের নিবন্ধন খাতায় তাদের নাম ও পরিচয় নথিভুক্ত করা হয়নি। সকালে এসে দেখি তাদের কক্ষের দরজা বাহির থেকে তালা খোলা। পরে দরজা খুলে নারীকে হাত মোড়ানো অবস্থায় খাটে শোয়া অবস্থায় দেখা যায়। স্বামী পরিচয় দেওয়া লোকটিকে পাওয়া যায়নি। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয় বলে জানান হোটেলটির ব্যবস্থাপক।