শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

সাদামাটাভাবে পালিত এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী অনেকটা সাদামাটাভাবেই পালিত হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের কোথাও চোখে পড়ার মতো কোনো কর্মসূচি ছিল না। অথচ এখনো এরশাদের নামেই জাতীয় পার্টি চলে।

জাতীয় পার্টি, এরশাদ ট্রাস্ট, ব্যক্তিগতভাবে বেগম রওশন এরশাদসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তা সাদামাটাই বলা যায়। এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পার্টির নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মৃত্যুবার্ষিকী এত সাধারণভাবে পালন হয়েছে তা মেনে নিতে পারছি না। ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে নেতা-কর্মীরা জানান, কাকরাইলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকালে প্রয়াত এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের মহাসচিবসহ অল্পসংখ্যক নেতা-কর্মী। এতে দেখা যায়নি এরশাদ পরিবারের কাউকে। ৫২ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সাহিদুর রহমান টেপা। গত বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে পালন করা হয় এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। তারা বলেন, কেন্দ্র থেকে কোনো সিনিয়র নেতা রংপুরে এরশাদের কবর জিয়ারত করতে যাননি। যারা কবর জিয়ারত করেছেন তারা স্থানীয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের ৮১টি রাজনৈতিক জেলা, প্রায় ৫০০ উপজেলার জন্য পোস্টার করা হয়েছে মাত্র ২০ হাজার। বনানী কার্যালয়ে নেই কোনো আয়োজন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিকালে কাকরাইলে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া প্রমুখ। সভা শেষে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।

রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস পার্টি সেন্টারে বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এম এ সাত্তার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ইকবাল হোসেন রাজু, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নুরু, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, নুরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। এইচ এম এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে অবস্থান করায় মদিনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি খেজুর ও জুস বিতরণ করেন। এ ছাড়া পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ীতে এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। কাকরাইলে এইচ এম এরশাদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বরিশালসহ কয়েকটি জেলায়ও এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের খবর পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর