শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বজিৎ হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন ১০ বছর পর গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শিবির কর্মী ধুয়া তুলে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় দর্জিশ্রমিক বিশ্বজিৎ নিহতের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টায় বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আলাউদ্দিন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছোটধাপ এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দীপক কুমার দাস জানান, মোকামতলায় তার শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়িতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে ৭ জুলাই রাতে স্ত্রীসহ বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। আত্মগোপন করে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বেসরকারি সংস্থায় (এনজিও) কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাতে তার সে কর্মস্থলে ফেরার কথা ছিল। তার স্ত্রী নাহিদ ফেরদৌস টেকনাফের একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থায় চাকরি করেন। সেখানেই আলাউদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় হলে ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। এর আগে আলাউদ্দিন গাজীপুরে একটি পোলট্রি ফার্মে চাকরি করতেন।

পুলিশসূত্র জানান, আলাউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে তিনি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দর্জিশ্রমিক বিশ্বজিৎ দাসকে (২২) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যার ঘটনায় বিশ্বজিতের ভাই উত্তম দাস ঢাকার সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। আলাউদ্দিন ওই মামলায় এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি। ওই মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন আসামিরা। এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট রায় দেন হাই কোর্ট। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাই কোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া ১৫ জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর