মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
শেয়ারবাজার

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতা কাটছে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই উদ্যোগে শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ হিসাব কস্ট প্রাইস বা কেনা দামে হিসাব করা হবে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মার্কেট প্রাইস বা বাজারমূল্যে শেয়ারের দর হিসাব করতে হয়। তাতে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা অনেক কমে যায়। এ ছাড়া বাজারে বিনিয়োগে ঝুঁকিও বেড়ে যায় প্রতিষ্ঠানগুলোর। এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল বিনিয়োগ হিসাবের নতুন নীতিমালা সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপে নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে। জানা গেছে, বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের মোট ইকুইটির ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে পারে। এই ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শেয়ারের বাজারমূল্যের ওপর হিসাব করে স্থিতি তথ্য জানাতে হয়। বাজারমূল্যে যদি বিনিয়োগ ২৫ শতাংশের বেশি হয়ে যায় তবে শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ স্থিতি ২৫ শতাংশের নিচে নিয়ে আসতে হয়। তাতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেমন সমস্যায় পড়ে তেমনি লোকসানের ঝুঁকিও বেশি থাকে। প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ স্থিতি শেয়ার ক্রয়মূল্যের ওপর নির্ধারণ করা হোক। কর্তৃপক্ষ সেই দাবি মেনে নতুন এই নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এই নীতি অনুমোদন করলে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা যেমন বাড়বে তেমনি শেয়ারবাজার নতুন তারল্য বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া ব্যাংকের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বন্ড ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ স্থিতি আলাদা করে হিসাব করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আরও বাড়বে প্রতিষ্ঠানগুলোর।

জানতে চাইলে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমা নিয়ে একটি জটিলতা আছে। জটিলতা কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়লে সেটা শেয়ারবাজারের জন্য শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর