মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সংঘর্ষে তিনজন নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নাসিরনগরে জমি নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হন। রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত আকতার মিয়া (৪০) গুনিয়াউক গ্রামের মৃত খুরশেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, নবীনগরে সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

নাসিরনগরের ঘটনায় হাসপাতালে আসা নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আকতার মিয়ার চাচাতো ভাই দুলাল মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগ্বিতণ্ডা থেকে দুই পরিবার দা-লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পরিবারের নারী-শিশুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে আকতার মিয়া ও দুলাল মিয়াসহ ১১ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রাত ১টার দিকে আকতার মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  আহতদের মধ্যে ফুলতারা (২৫), নূর আলম (৫০), সালমা (৩৫), আরশা (২১ দিন), নুশরাত (৩), সুফিয়ান (১০), বকুল (২৫), সাজ্জাদ (২৭) ও দুলাল মিয়া (৩৭) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আকতার হত্যায় তার ছোট ভাই খোকন মিয়া মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে।

এদিকে শনিবার রাতে নবীনগরে সালিশি বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরও একজন মারা গেছেন। সোমবার ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে আরাফাত নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। নিহত আরাফাত নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের মেরাতুলী গ্রামের সফর আলীর ছেলে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মেরাতুলী গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া ও সফর মিয়ার ছেলে আরাফাতের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে শনিবার রাতে জাহের মিয়ার উঠানে সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে জিয়া নামে একজন না আসায়, সভায় উপস্থিত শাহ আলম প্রশ্ন তোলেন। এনিয়ে সফর মিয়া, সাঈদুল, ছুট্টু ও আরাফাতের সঙ্গে শাহ আলমের বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রসহ শাহ আলমের ওপর হামলা করে। ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় শাহআলমের চোখে বল্লমের আঘাত লাগে এবং আরাফাতসহ কয়েকজন আহত হন। শাহআলমকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মধ্যরাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলম পথেই মারা গেছেন বলে জানান। একই সময়ে গুরুতর আহত আরাফাতকে ঢাকার আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যান। নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ আরাফাতের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তারা তৎপর আছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর