মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাসানচর থেকে পালানো ২০ রোহিঙ্গা আটকের পর উধাও

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসা ২০ রোহিঙ্গা আটকের ১২ ঘণ্টা পর উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং নয়জন শিশু ছিলেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাংছিল কিল্লার বাজার-সংলগ্ন সেলিম মাঝির ঘর থেকে পালিয়ে যায় তারা। এর আগে রবিবার রাত ১২টার দিকে কিল্লার বাজার থেকে তাদের আটক করেন স্থানীয়রা। পরে চর এলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে জানিয়ে তাদের ইউপি সদস্য আবদুল হক মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের গাফলতির সুযোগে চর এলাহী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল হক এবং সেলিম মাঝির যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, রাতে ২০ রোহিঙ্গাকে আটকের পরপরই কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানো হয়। আটকের ১২ ঘণ্টা পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রোহিঙ্গারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হক টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘চৌকিদার চেয়ার নিয়ে ঘরের সামনে বসা ছিলেন। ঘরের পাশে প্রায় ১ হাজার মানুষ ভিড় করছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কিছু দুষ্কৃতকারী এক এক করে সব রোহিঙ্গাকে ঘর থেকে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমরা বিষয়টি আঁচ করতে পারি।’

জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান গাফিলতির অভিযোগ নাকচ করে বলেন, ঘটনাস্থল থানা থেকে অনেক দূরে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আটক রোহিঙ্গারা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে  রয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর