শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বোটানিক্যাল গার্ডেনে ৬০ দেশি পাখি অবমুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বোটানিক্যাল গার্ডেনে ৬০ দেশি পাখি অবমুক্ত

রাজধানীর মিরপুর থেকে ১টি ময়না, ৩২টি টিয়া, ৯টি ঘুঘু, ১টি চিল ও ১৭টি শালিক উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত করা হয়। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অফিসের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক নিগার সুলতানা। নিগার সুলতানা বলেন, ‘অবৈধ বন্যপ্রাণী কেনাবেচা ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের লক্ষ্যে সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের পাখিবাজারে অভিযান চালাই। টের অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসায়ীরা বন্যপ্রাণীগুলো সরিয়ে ফেলেন। পরে সেখান থেকে কিছুদূর সরে গিয়ে অন্যত্র অবস্থান নিই। কিছুক্ষণ পর আবারও সেখানে যাই। দ্বিতীয়বার গিয়েও দেশি পাখি না পেয়ে আবার কিছুদূর গিয়ে অবস্থান নিই। এরপর তৃতীয়বারের মতো সেখানে যাই এবং বিভিন্ন খাঁচায় বন্দি অবস্থায় ৬০টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করি। তবে অবৈধ ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে পাখিগুলো অবমুক্ত করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী দেশি পাখি ধরা, মারা, কেনাবেচা ও বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব অপরাধের জন্য অপরাধীরা ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনো জানেন না ময়না, টিয়া, মুনিয়া, ঘুঘু, শালিকসহ দেশি যে-কোনো বন্যপ্রাণী লালনপালন অপরাধ। এসব লালনপালনের অপরাধে জেল-জরিমানা হতে পারে, এও অনেকে জানেন না। আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের সতর্ক করছি।’

নিগার সুলতানা বলেন, ‘গত বছরের জুন থেকে এ পর্যন্ত এক বছরের অধিককালে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার পাখিবাজারে ৭৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৮০০ বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে তা প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৬ জন অবৈধ পাখি ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী কেনাবেচা ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সর্বশেষ খবর