রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

চলে গেলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলে গেলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলে রাব্বি মিয়া আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সেখানে তিনি দীর্ঘ নয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। গাইবান্ধা-৫ আসনের সাতবারের এই সংসদ সদস্য দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি তিন মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। তাঁরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। ফজলে রাব্বি মিয়ার লাশ নিউইয়র্ক থেকে আগামীকাল সকালে দেশে আসবে। এর আগে আজ স্থানীয় সময় বাদ জোহর নিউইয়র্কের জ্যামাইকার মুসলিম সেন্টারে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। লাশ বাংলাদেশে আনার পর প্রথম নামাজে জানাজা হবে সুপ্রিম কোর্টে। এরপর তার জানাজা হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে গাইবান্ধায়। সেখানকার ভরতখালী স্কুল মাঠে তার জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদ পরিচালনায় ফজলে রাব্বি মিয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ুমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খসরু, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রমুখ। ফজলে রাব্বি মিয়ার জন্ম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ খবর