নাচের শৈল্পিকতায় শিল্পকলায় সুর, ছন্দ ও মুদ্রায় শিল্পের সুষমা বইয়ে দিয়েছিলেন নৃত্যপটিয়সী শিল্পীরা। সুরের সঙ্গে ছন্দময় মুদ্রার সংমিশ্রণ অনন্য করে তুলেছিল শ্রাবণের সন্ধ্যাটিকে। ধ্রুপদী নাচের মুদ্রায় গোটা মিলনায়তনে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছিল শিল্পীরা। পরিবেশনার পরতে পরতে নান্দনিকতার ছোঁয়া দিয়ে নৃত্যের আসরকে উপভোগ্য করে তুলেছিল তারা। এমন দৃশ্যকল্পই চিত্রিত ছিল গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান তিন দিনের জাতীয় নৃত্যনাট্য উৎসবের দ্বিতীয় দিন।
সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের এই আয়োজনে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়, বহ্নিশিখা, সিলেটের নৃত্যশৈল ও বগুড়ার আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠী।
আসরের শুরুতেই ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় ‘হাজার বছরের বাঙালি’ গানের সঙ্গে নৃত্যনাট্যে দ্যুতি ছড়ান ধৃতি নর্তনালয়। এরপর মাহবুব হাসান সোহাগের পরিচালনা ‘বারামখানা’; শিরোনামের নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে বগুড়ার আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠী। নীলাঞ্জনা জুঁইয়ের পরিচালনায় সিলেটের নৃত্যশৈল পরিবেশন করে ‘রূপান্তরের গান’ এবং সাহিদা রহমান সুরভীর পরিচালনায় বহ্নিশিখা পরিবেশন করে নৃত্যনাট্য ‘কুঞ্জ সাজাও গো’।আজ সোমবার সমাপনী আসরে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করবে সাধনা নৃত্যদল, নৃত্যলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নান্দনিক নৃত্য সংগঠন ও নৃত্যবিহারের শিল্পীরা।