মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসের মামলা বাতিল প্রশ্নে রুলের শুনানি ১১ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলা বাতিলে জারি করা রুল শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ঠিক করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে এ বিষয়ে পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য গত বুধবার আদালতে আবেদন করা হয়। পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশও উপস্থাপন করা হয়। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের যে মামলাটি হাই কোর্ট স্থগিত করেছিলেন, আপিল বিভাগ তা দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে নির্দেশ দেন। এখানে কলকারখানা অধিদফতরের পক্ষে যিনি মামলাটি করেছিলেন, সেই রুল থাকা অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। এখন যিনি এই মামলার দায়িত্বে আছেন, তার পক্ষে মামলাটি পরিচালনার জন্য একটি দরখাস্ত দাখিলের অনুমতি চেয়েছিলাম। আর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যেহেতু আপিল বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে দুই মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য। সেই আদেশের অনুলিপি আমরা আদালতের কাছে দাখিল করলাম। মামলাটি তালিকায় আসার পর রুল শুনানির জন্য ১১ আগস্ট দিন ঠিক করে দেওয়া হয়। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ড. ইউনূস ছাড়াও এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর