বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
ডিএমপির ব্রিফিংয়ে তথ্য

মাসে আয় বেশি বলে ডাকাতি করত চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার লালবাগসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সোনার দোকান, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকে ডাকাতি করে আসছিল একটি চক্র। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ডাকাত সরদাররা নতুন করে দল গোছায়। সেখানে থাকা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের দলে নিয়ে আসে। করোনার কারণে চাকরিতে বেতন কম, কিন্তু মাসে একটি ডাকাতি করলে তার চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেখানো হতো।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অভিযান চালিয়ে এ ডাকাত দলের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- সুমন চৌকিদার ওরফে সুমন মিয়া, মোস্তফা, আরিফ হোসেন, পলাশ, করিম, হাসান, রিপন ওরফে আকাশ, জয়নাল আবেদিন, ওমর ফারুক ফয়সাল, রাসেল ও হাফিজুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, বড় ছোরা, রামদা, দুটি চাপাতি, পাটের রশি, গামছা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি সিএনজি ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি ডাকাত দল পুরান ঢাকার লালবাগ, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সোনার দোকান, বাস ও ট্রাকে ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। পরে ডিবির লালবাগ বিভাগ অভিযান চালিয়ে গতকাল ভোররাতে মিটফোর্ড এলাকায় তাদের অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এ ডাকাত দলের প্রধান সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ১৬টি মামলা ও পাঁচটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতি ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। ডাকাত প্রতিরোধে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি সতর্ক রয়েছে জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ডিবি ও থানা পুলিশের টহল টিমের তৎপরতা আছে বলেই কমেছে ডাকাতি। উদ্ধার হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশি অস্ত্র।

সর্বশেষ খবর