রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
বর্বরতা

গানের তালে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় পুলিশের সোর্স পরিচয়ে নিরীহ মানুষজনকে মিউজিক বাজিয়ে গানের তালে তালে নেচে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে যুবক শাহ আলমের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে তার এমন একটি নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও দেখে পুলিশ ১২ ঘণ্টার মধ্যে নেচে নেচে নির্যাতনকারী শাহ আলমকে আটক করেছে। শুক্রবার বিকালে ফেসবুকে পোস্ট করা নির্যাতনের ওই ভিডিওটি আপলোড দিয়ে বলা হয়, সোনারগাঁ থানার এক এএসআইর সোর্স পরিচয় দিয়ে বুক ফুলিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর বর্বর নির্যাতন করে যাচ্ছেন শাহ আলম। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টর্চার সেলে নিয়ে মিউজিক বাজিয়ে গানের তালে তালে তার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।

৪৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত শাহ আলম একটি কক্ষে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে মিউজিকের তালে তালে পেটাচ্ছেন আর নাচছেন। কিছুক্ষণ পর পর নেচে উল্লাস করছেন আর পেটাচ্ছেন। শাহ আলম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় খন্দকার প্লাজার পাশে তার বোনের বাড়িতে থাকেন। মাঝেমধ্যে একই উপজেলার চিলারবাগ এলাকায় নানাবাড়িতেও তিনি থাকেন। সোনারগাঁ থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে শাহ আলম নিরীহ যুবকদের আটকে রেখে মুক্তিপণ বাবদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরে পুলিশের মাধ্যমে ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে তাদের হয়রানি করেন। শাহ আলমের বিরুদ্ধে এলাকায় ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, শাহ আলম পুলিশের সোর্স নন। পুলিশকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। আজই তাকে ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে চালান করে দিয়েছি। তিনি যাকে পেটাচ্ছেন তিনিও একজন ডাকাত। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে ১০-১৫টি মামলা আছে। অনেকবার তারা জেলও খেটেছেন।’

 

সর্বশেষ খবর