বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি ও মেগা চুরির কারণে বিদ্যুৎ খাতে ভরাডুবি ও লোডশেডিং হচ্ছে। একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকারের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে গ্যাস আমদানি করছে। আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ীরা এসব করছেন।
গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সারা দেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিসহ বিভিন্ন মহানগরীতে বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। আজ রবিবার দেশব্যাপী জেলা সদরে বিএনপি এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করবে। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা মীর শরাফত আলী সপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপি নেতা নবীউল্লা নবী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনি তো গোটা সড়ক ব্যবস্থাকে নৈরাজ্যের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। শুক্রবার মাইক্রোবাসে করে ১১ জন শিক্ষার্থী যাচ্ছিল, ট্রেন তাদের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে সবাইকে হত্যা করেছে। এমন অসংখ্য নজির আমরা প্রতিদিন দেখতে পাচ্ছি। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ বিদ্যুৎ, গ্যাস পাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। সরকার রাজনীতি, বিচারবিভাগকে ধ্বংসের পর এবার অর্থনীতিকে শেষ করছে। সরকার পতনের জন্য এক দফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের পতন না হলে মানুষের কষ্ট কমবে না। বিদ্যুতের সংকট নিয়ে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে যদি প্রয়োজনের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে আজকের এই ভয়াবহ লোডশেডিং কেন? এর কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, চুরি এবং মেগা চুরি। বিদ্যুৎ খাতে এমন চুক্তি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদের টাকা দিতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও এমন অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ইতোমধ্যেই হাজার হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
