সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

সংকটের জন্য ভুলনীতি দায়ী

আলোচনা সভায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও জ্বালানি সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের জন্য ভুলনীতি ও দুর্নীতি দায়ী। আট-নয় বছর পর দেশ মারাত্মক জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়বে। সংকট নিরসনে সরকারের উচিত জ্বালানি নীতি গ্রহণ করা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা ও গ্যাস ব্যবহার করা।

গতকাল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাসপাতাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এ সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকার জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। এখন জনগণের বাকি সরকারের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেওয়া।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চাইলে সপ্তাহে এক দিন সব প্রাইভেট কার বন্ধ করুন। শুধু অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের ন্যূনতম গাড়ি আর হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাড়ি চলবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শর্ত পূরণ করে আইএমএফের লোন পাওয়া দুষ্কর।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটসহ সব সংকটের মূল কারণ সরকারের দুর্নীতি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকার এত দিন বলেছে বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। আসলে তারা লোডশেডিংটা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপি সরকার খাম্বা বানিয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ দেয়নি।

আর আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুতের কারখানা বানিয়েছে কিন্তু জ¦ালানি নেই। গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, জ্বালানির দুর্নীতির সঙ্গে সরকারের লোকদের কয়েকটি কোম্পানি জড়িত। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী খন্দকার সালেখ সুফী প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর