মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
প্রবাসীর পরিবারে ট্র্যাজেডি

জ্ঞান ফেরেনি মেয়ের, কাজ করছে না কিডনি ও লিভার

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটের ওসমানীনগরে বাসা থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের এক সপ্তাহেও জ্ঞান ফেরেনি মেয়ে সামিরা ইসলামের। তার কিডনি ও লিভার কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এক সপ্তাহেও ঘটনার কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অচেতন অবস্থায় মারা যাওয়া বাবা ও ছেলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ঘটনার রাতের খাবারের রাসায়নিক প্রতিবেদন এলেই জট খুলবে রহস্যের- এমনটা দাবি করছে পুলিশ। তবে এর জন্য আরও অন্তত ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে মারা যাওয়া যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলামকে। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাদের এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। তবে এখনো জ্ঞানহীন অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রফিকুল ইসলামের মেয়ে সামিরা ইসলাম। হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল গাফ্ফার জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর সামিরার একবারের জন্যও জ্ঞান ফেরেনি। তার কিডনি ও লিভার কাজ করছে না। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তারা সঠিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। তাই তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অচেতন অবস্থায় মারা যাওয়া রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলামের ময়নাতদন্ত ও ঘটনার রাতে খাওয়া খাবারের রাসায়নিক প্রতিবেদন হাতে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ জন্য আরও অন্তত ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই রফিকুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন। ২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন পুলিশ দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় পাঁচ যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রফিকুল ইসলাম ও মাইকুল ইসলাম সেখানে মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি তিনজনকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

সর্বশেষ খবর