সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের দায়ে করা দুই মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে রিট করা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়। রিটের পক্ষের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলায় গত বছর জানুয়ারিতে এবং চাঁদাবাজির মামলায় চলতি বছর মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তর চেয়ে বাদী ওই তরুণীর স্বামী এ রিট করেছেন। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত বছর ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। এ ছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাই কোর্ট।