বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

খেজুর ও চারা বিক্রি করে বছরে আয় ৫ লাখ টাকা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

খেজুর ও চারা বিক্রি করে বছরে আয় ৫ লাখ টাকা

ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৌদি খেজুরের বাগান ও চারা উৎপাদন করে সফল হয়েছেন শরীয়তপুরের সোলাইমান খান। তিন বছরের ব্যবধানে এখন তার বছরে আয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।

খেজুর চাষি সোলাইমান খান জানান, অনলাইনে ভিডিও দেখে ২০১৯ সালের মে মাসে বন্ধুদের মাধ্যমে প্রথমে সৌদি আরব থেকে বীজ আনেন। পরে রংপুর, গাজীপুর, নরসিংদী থেকে সৌদি খেজুরের চারা সংগ্রহ করেন। বাড়ির পাশের কাঠবাগান কেটে ২ বিঘা জমিতে ৪ লাখ টাকা খরচ করে ১০০ খেজুর চারা রোপণ করেন। নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বাগান করতে সক্ষম হন। পাশাপাশি নার্সারিও করেছেন। বর্তমানে তার বাগানে কয়েক হাজার খেজুর গাছ ও চারা আছে। বিভিন্ন দামে খেজুরের চারা বিক্রি হচ্ছে। সারা দেশে খেজুরের চারা ছড়িয়ে দিতে সরকারের সহযোগিতা চান সোলাইমান খান। তিনি মনে করেন, মানুষের ইচ্ছা ও পরিশ্রুমই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে।  শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ছোটকাচনা গ্রামে সোলাইমানের খেজুর বাগান।

সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির উঠানে সারি সারি শত শত খেজুর চারা। পাশেই মাটিভর্তি পলিথিনের ব্যাগ, তৈরি হচ্ছে নতুন চারা। তিন বছরে কয়েকটি গাছে এসেছে খেজুর। রং না এলেও আধা-পাকা খেজুর খেতে দারুণ স্বাদ। সোলাইমান খানের এ উদ্যোগ ও সাফল্য দেখে অনেকেই এখন বাগান করছেন। অনেকেই খেজুর বাগান দেখতে আসেন। শাহ আলম মিয়া, কাঞ্চন চৌধুরীসহ অনেকে বলেন, কাঁচা খেজুর খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু। তারাও সৌদি খেজুর চাষ করে সফল হতে চান। সোলাইমানের বাবা দলিল উদ্দিন খান বলেন, ‘খেজুর ও চারা বিক্রি করে ছেলের বার্ষিক আয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। আজও ৮টি বড় খেজুর গাছ বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকা।’ নাগেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল খান বলেন, সোলাইমানের মতো খেজুর গাছ লাগিয়ে দেশের চাহিদা পূরণে সবাইকে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর