শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন সেই ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রী স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এক যুবকের ‘ব্ল্যাকমেলের শিকার’ হয়ে ওই পথ বেছে নিয়েছিলেন স্মৃতি। এ ঘটনায় ‘ব্ল্যাকমেলের’ যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তি দেন শ্যামল দাস নামের ওই যুবক। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শ্যামল দাস (২১) হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মশাকলি গ্রামের সুধাংশু দাসের ছেলে। বুধবার জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে শাহপরাণ থানা পুলিশ। আত্মহননকারী স্মৃতি রানী দাস (২০) এমসি কলেজের ইংরেজি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের যুগল কিশোর দাসের মেয়ে। গত ২৫ মে এমসি কলেজের নতুন হোস্টেলের চারতলার ৪০৩ নম্বর কক্ষ থেকে স্মৃতি রানী দাসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি তৃতীয় তলায় ৩০৭ নম্বর কক্ষে থাকতেন। স্মৃতি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে তখন জানিয়েছিল পুলিশ। স্মৃতি রানী দাসের আত্মহত্যার ঘটনায় শাহপরাণ থানায় মামলা করেছিলেন তার বাবা যুগল কিশোর দাস। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘ঘটনার পর স্মৃতির মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। ফোন থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে কাজ শুরু করে পুলিশ। বুধবার শ্যামল দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, স্মৃতি রানী দাসকে কল দিতেন, উত্ত্যক্ত করতেন। ওই ছাত্রীর কোনো একটি ডকুমেন্ট পেয়ে তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন শ্যামল দাস। স্মৃতির কাছে টাকাও চাইতেন। বিকাশে টাকাও নিয়েছিলেন।’ শাহপরান (রহ.) থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘স্মৃতি রানী দাসের ম্যাসেঞ্জার হ্যাক করেছিলেন শ্যামল দাস। এর মাধ্যমে স্মৃতির ব্যক্তিগত ছবি পেয়ে যান। সেই থেকে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল।’

সর্বশেষ খবর