রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

আম গাছে বক পানকৌড়ি

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

আম গাছে বক পানকৌড়ি

বর্ষার সময়ে বক আর পানকৌড়ি পাখির দল নিরাপদ আস্তানা হিসেবে বেছে নিচ্ছে দিনাজপুর শহরের আবাসিক এলাকার আম গাছগুলোকে। ফলে পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত থাকে গাছগুলো।

দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ীর ফুড অফিসের সামনে এবং পাহাড়পুর ইকবাল স্কুলের গাছগুলোতে এই পাখির অবস্থান। বালুবাড়ীর আম গাছ নিরাপদ প্রজনন আবাসস্থলও। এলাকার মানুষও এসব অতিথি পাখিদের ভালোবেসে কিছু বলেন না। সরেজমিনে দেখা গেছে, আবাসিক এলাকা দক্ষিণ বালুবাড়ীর ফুড অফিসের সামনে গাছের ডালে বাসা বেঁধেছে সাদা বক ও পানকৌড়ির দল। বৈশাখে এসেছে এসব পাখি। প্রতিবারের মতো এবারও প্রজনন শেষে বাচ্চাগুলো বড় হওয়ার পর ভাদ্র মাসেই চলে যাবে এরা। আম গাছগুলোতে নিরাপদ প্রজনন এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে সাদা বক-পানকৌড়ির দল।

দেখা গেছে, পাখিগুলোর কোনোটি উড়ছে, কোনোটি ডাকছে। সকালে আর বিকালে পাখিদের আনাগোনায় মন জুড়িয়ে যায় সবার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল হলেই মা পাখিরা খাবারের সন্ধানে উড়ে যায়, আবার সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসে। সন্ধ্যার দিকে গাছগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় শাখা-প্রশাখা জুড়ে সাদা-কালো ফুল। তবে ওরা নড়ে-চড়ে, ওড়ে এবং ডাকে। পাখির ওড়াউড়ি, মা পাখির বাচ্চাকে খাওয়ানো আর বাবা পাখির সারাদিন পাহারা দেওয়ার দৃশ্য প্রতিদিন সবাইকে মুগ্ধ করে। স্থানীয় কয়েকজন বলেন, এরা বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আসতে শুরু করে এবং পাঁচ মাস অবস্থান করে প্রজনন শেষে চলে যায়। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা, আত্রাই, গাবুরা নদীসহ খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে নানা জাতের মাছ, পোকামাকড় ও শামুক-ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। কেউ তাদের বিরক্ত করে না। ফলে নিরাপদ আশ্রয়ে পাখিরা বাসা বেঁধে ডিম দেয় এবং বাচ্চা ফুটায়। সকাল আর সন্ধ্যায় পাখির কলকাকলি অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর