ট্রাকের তেলের ট্যাংকে করেই পাচার হচ্ছিল ক্রেজি ড্রাগস ইয়াবা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে চার বছর ধরে এমন অভিনব কায়দায় টেকনাফ থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ইয়াবা পাচার করছিল চক্রটি। তবে এবার তা আর গোপন থাকেনি। বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ থেকে আসা সেই ট্রাকেই (ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-৫৪২৮) তল্লাশি চালায় র্যাব-৩-এর একটি টিম। শনিবার রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় ট্রাকের বিভিন্ন অংশে তল্লাশির একপর্যায়ে তেলের ট্যাংকের অভ্যন্তরে তারা সন্ধান পায় ১ লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবার। গ্রেফতার করা হয় চক্রের সদস্য আমিনুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহকে। জব্দ করা হয় ট্রাকটি।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র?্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন। তিনি বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা টেকনাফ থেকে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পৌঁছে দিতেন। মূলত ট্রাকের মালিক সোহেলের নেতৃত্বে চার-পাঁচ বছর ধরে পরিবহন ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করে আসছিল চক্রটি। পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও সহকারীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের গাড়িতে ইয়াবা পাচার করা হতো। উদ্ধার করা ইয়াবার দাম ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা।