শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
ডলার ও সোনার বাজারে অস্থিরতা

চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চায় বাজুস

বিশেষ প্রতিনিধি

চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চায় বাজুস

মার্কিন ডলার ও সোনার বাজারে অস্থিরতায় জড়িত দেশি-বিদেশি চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কাস্টমসসহ আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থার জোরালো অভিযানের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)-এর প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মার্কিন ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সংকটসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখিতা এবং বেপরোয়া চোরাচালানের ফলে বহুমুখী সংকটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। মূলত এ চোরাকারবারিদের একাধিক সিন্ডিকেট বিদেশে সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হয়। দেশে চলমান ডলার সংকট ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেটগুলোর সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজার অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কাস্টমসসহ দেশের আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থার জোরালো অভিযান ও শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সারা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ও ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, কোনো দুষ্কৃতকারী, চোরাকারবারি যাতে দেশবিরোধী ও অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক চোরাকারবারিকে আইনের মুখোমুখি করা হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়ছে। বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, অবৈধ উপায়ে কোনো চোরাকারবারি যেন সোনা বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সরকারের সব সংস্থাকে প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি। এ ছাড়া চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া সোনার ২৫ শতাংশ সংস্থাগুলোর সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের অনুরোধ করছি। মূলত চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাজুসের এ প্রস্তাব। বাজুসের এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কমবে।

 

সর্বশেষ খবর