শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

কলাপাড়ায় হাসছে ড্রাগন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কলাপাড়ায় হাসছে ড্রাগন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাষ হয়েছে ড্রাগনের। আর ফলনও হয়েছে ভালো। কোনোটি লাল। আবার কোনোটি হলদে রঙের কিংবা কোনোটা সবুজ। প্রতিটি গাছেই ঝুলে রয়েছে অসংখ্য ড্রাগন ফুল আর ফল। উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনীপাড়া গ্রামে মো. মোস্তফা জামান নামের এক চাষি নিজ বাড়িতে প্রথমে এ ড্রাগন চাষ শুরু করেন। এতে তার ব্যয় হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। কোনো রাসায়নিক ছাড়াই আট মাসের মাথায় ফল আসে। এ বাগানে ৩ শতাধিক ড্রাগন গাছ রয়েছে। আর প্রতি বছরই বাগানটিতে যুক্ত করছেন নতুন নতুন প্রজাতির ড্রাগন চারা। তার বাগানের ড্রাগন ফল এখন স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বাগান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন ড্রাগন চাষি মোস্তফা।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই ড্রাগনের বাগান গড়ে তুলেছেন। এর পাশাপাশি কলা, লিচু, পেয়ারা, মাল্টা, পেঁপে, এলাচসহ অন্যান্য ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছে মাছের ঘের, গরু ও দেশি মুরগির খামার। তার সফলতা দেখে ওই ইউনিয়নসহ উপজেলায় একাধিক খামার গড়ে উঠেছে। অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

কৃষিবিদরা জানান, ড্রাগন ফল হলো একটি স্বাস্থ্যকর ফল। এটি বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে বর্তমানে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে। খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বহু গুণের অধিকারী হওয়ায় এর বেশ চাহিদাও রয়েছে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অতিথি আপ্যায়নে এখন দেওয়া হচ্ছে এই ফল।

কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, তার ড্রাগন বাগানটি ঘুরে দেখেছি। এই বাগানে সমন্বিত কৃষি খামার রয়েছে। তবে ড্রাগন চাষে বেশ সফল তিনি। তার এ বাগান ঘুরে দেখলে কৃষিক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখা যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, ড্রাগন একটি জনপ্রিয় ফল। এ উপজেলায় এসএসবি প্রকল্পের আওতায় সাতটি ড্রাগন বাগান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোস্তফা জামানের বাগানটি উল্লেখযোগ্য।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর