শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ভুল অ্যাকাউন্টে সোয়া ৩ কোটি টাকা রহস্য উদঘাটন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের শাখা থেকে ৬ জুলাই ভুলবশত অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা চলে যায়। যে অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যায় সেই অ্যাকাউন্টধারী ব্যবসায়ী আবু তাহের ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা তুলে তা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাও করেন। এ ঘটনায় আবু তাহেরকে ৯ আগস্ট নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল এসব তথ্য জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।

পুলিশ সুপার বলেন, ৬ জুলাই ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গাইবান্ধা শাখার এক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জমা দেন। ওই টাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা থাকলেও তা জমা হয় ঢাকার আমির ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে। ৪ আগস্ট ব্যাংকের রুটিন চেক করার সময় ঘটনাটি ব্যাংক ম্যানেজারের নজরে আসে। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম ওই টাকা উদ্ধারের জন্য পিবিআইকে লিখিতভাবে জানান। পুলিশ সুপার বলেন, প্রযুক্তি ও বিভিন্নভাবে অনুসন্ধানে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আবু তাহেরকে নোয়াখালী থেকে আটক করা হয়। তিনি আমির ইন্টারন্যাশনাল নামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানান এসপি। এসপি জানান, একটি সংখ্যা ভুল হওয়ার কারণে টাকা আবু তাহেরের অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ওই অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখা যায় আবু তাহের ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছেন। তার দেওয়া তথ্যে গাইবান্ধা ও ঢাকার একটি টিম দারুস সালাম থানা এলাকায় আবু তাহেরের শ্যালিকার বাসা থেকে ২০ লাখ ও ভাটারা থানা এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১০ লাখসহ মোট ৩০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এ ছাড়া বাকি ১৫ লাখ টাকা আমির ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক হিসাবে জমা আছে। বাকি ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের জন্য আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদসহ তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখার ম্যানেজার মো. জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় মামলা করেছেন। আটক আবু তাহেরকে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

সর্বশেষ খবর