চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেত্রীর মারামারির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগ নেত্রী ইষ্টি, নির্জনা, নোলক ও সীমার মধ্যে এই মারামারি হয়। জুনিয়র দুই নেত্রী সিনিয়র দুই নেত্রীকে রুমে প্রবেশে অনুমতি নিতে বলায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ভুক্তভোগী সিনিয়র শিক্ষার্থী এ বিষয়ে প্রভোস্ট অফিসে অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হলের ২০৩ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেত্রী সাজামুন নাহার ইষ্টি ও নির্জনার কক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে ঢোকেন নোলক। এ সময় নোলককে নক না করে রুমে ঢুকতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তারা তর্কে জড়ান। বিষয়টি ইষ্টি নির্জনার মা ও নোলকের বাবাকে জানালে নোলক আবার ওই রুমে আসেন ও ইষ্টির সঙ্গে তর্কে জড়ান। এ সময় পাশের রুমের সীমা সেখানে আসেন। এক পর্যায়ে তারা একে অপরকে চড়-থাপ্পড় মারেন ও চুলাচুলি করেন। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ও ছাত্রলীগের নেত্রী। একজন হলেন ইংরেজি বিভাগের তাসফিয়া জাসারাত নোলক এবং ছাত্রলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। অন্য অভিযুক্ত নির্জনা ইসলাম নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উপ-কৃষি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী হলেন- ছাত্রলীগের উপ-স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী সীমা আরা শিমু এবং উপ-ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাজামুন নাহার ইষ্টি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে অভিযুক্ত তাসফিয়া জাসারাত নোলককে মাদকদ্রব্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশ থেকে রাত ১২টার দিকে হাতেনাতে ধরেন প্রক্টরিয়াল বডি। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। অভিযুক্ত নোলককে কল দিলে তিনি সংবাদমাধ্যমের নাম শুনেই লাইন কেটে দেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম সোহেল বলেন, ইষ্টি ও নির্জনার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় নোলক তাদের রুমে যায় এবং তর্কাতর্কি করে। এক পর্যায় ইষ্টির সঙ্গে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাকে হয়তো হল থেকে বের করে দেওয়া হবে।