বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিম নিয়ে সিন্ডিকেটের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। সে হিসাবে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৬৫ টাকা। গরিবের আমিষ খ্যাত ডিম এখন তাদের নাগালের বাইরে। এমন কি মধ্যবিত্তরাও ডিম খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তবে প্যাকিজং করা ওমেগা থ্রি ব্র্যান্ডে ডিমের দাম আরও বেশি।

এদিকে খামারিরা বলছেন প্রতি পিস ডিমের উৎপাদন খরচ এখন ৮ টাকার বেশি। আর পাইকারিতে এখনো ৯ টাকা পিস বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত দামের অর্থ খামারিরা পায় না। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট করতে পারে বলে তাদের ধারণা। খামারিরা ডিমের দাম কিছুটা বাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে আসা লোকসানের অংশ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত দামে যারা ডিম বিক্রি করছেন এই দায় তাদের নয় বলে তারা জানিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি হালি ডিম ৫৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা দেছে। তবে একসঙ্গে এক ডজন কিনলে ৫ টাকা কম ১৬০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা বিক্রেতাদের। মহল্লার ভিতরে মুদি দোকানগুলোতে দামে ফারাকটা বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকাররা। তিন দিন আগেও প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। তিন দিনের ব্যবধানে লাল ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা। বেড়েছে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমের দামও। হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। টিসিবির তথ্যমতে, গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি হালি ডিম ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৪৪ টাকা। টিসিবির ওই হিসাবে এক বছরে ডিমের দাম বেড়েছে অন্তত ৩৫ শতাংশ। খামারিরা বলছেন, গরমের সময় ডিমের উৎপাদনও কম হয়। এতে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি থাকে। যদিও এ বছরের চিত্র ভিন্ন।

 

 

সর্বশেষ খবর