শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ইস্যু দ্বিপক্ষীয় নয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের কোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে মিয়ানমার এখনো পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়নি। গতকাল ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) ‘রোহিঙ্গা সংকট : প্রত্যাবাসনের উপায়’ শীর্ষক ওই সেমিনার আয়োজন করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ভার বহন করে চলেছে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চলেও পড়বে। মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে পারছে না। আস্থা সৃষ্টি করতে আসিয়ান ভূমিকা রাখতে পারে। মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। আশা করি, সীমিত পরিসরে হলেও প্রত্যাবাসন শুরু হবে।’ সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেইজার। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাসম্পর্কিত যে কোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের যুক্ত করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে টেকসই সমাধান চায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমি শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ফিরতে চান। তবে তাদের এই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, মর্যাদার ভিত্তিতে। আর সেই পরিস্থিতি মিয়ানমারকেই তৈরি করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সেমিনারে মূল বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সিজিএসের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের শরণার্থীবিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয়ক ম্যাকেঞ্জি রো বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের উৎপত্তি মিয়ানমারে। এর সমাধানও মিয়ানমারে। রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিপীড়ন ও নৃশংসতা হয়েছে, তার স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, জাপান রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে জাপান সমর্থন করে। জাপান রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

 

সর্বশেষ খবর