শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
কৃষি

শরিফা ফল চাষ বাণিজ্যিকভাবে

মাগুরা প্রতিনিধি

শরিফা ফল চাষ বাণিজ্যিকভাবে

মাগুরায় মিশ্র ফলবাগানে বাণিজ্যিকভাবে শরিফা ফলের চাষ করেছেন ওবায়দুল ইসলাম। মাগুরা সদর উপজেলার আলিধানী মাঠে সাড়ে ৪ একর জমিতে তিনি পেয়ারার সঙ্গে শরিফার বাগান করেছেন। শরিফা ফল সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় সারা দেশে এর চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ বাগান দেখে এলাকার কৃষকের মধ্যে শরিফা চাষের আগ্রহ বেড়েছে। মাগুরা পৌরসভার শিবরামপুরের আবদুর রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম নিজের সাড়ে ৩ একরসহ দীর্ঘমেয়াদি লিজের মাধমে ১০ একর জমিতে মিশ্র ফল চাষ করছেন। এর সাড়ে ৪ একর জমিতে পেয়ারার সঙ্গে শরিফা ফলের বাগান করেছেন। শরিফার গাছ বড় হয়ে উঠলে পেয়ারা গাছ কেটে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া অন্যান্য বাগানে পেয়ারা, পেঁপে, মাল্টা, থাই কুলের গাছ লাগিয়েছেন। সাথী ফসল হিসেবে চাষ করেছেন লাল শাক, পালং শাক, মরিচসহ অন্যান্য ফসল। যা বিক্রি করে বাড়তি অর্থের জোগান পাচ্ছেন তিনি। ২০২০ সালে এ মিশ্র ফলবাগান তৈরি করেছেন তিনি। ১০ একর জমিতে বাগান তৈরিতে তার এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২২ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে পেয়ারা বিক্রি করেছেন ৮ লক্ষাধিক টাকা। মাল্টা বিক্রির মাধ্যমেও ঘরে তুলেছেন অর্থ। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ওবায়দুল ইসলামের মিশ্র ফলবাগান তৈরিতে নানা পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।

ওবায়দুল বলেন, ‘শরিফা ফলের গাছ একসময় গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে এখন আর তেমন কোনো বাড়িতে দেখা যায় না। সে কারণে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হারিয়ে যেতে বসা এ ফলের চাষ শুরু করেছি। আলীধানী মাঠ ছাড়াও নিজ গ্রামেও ১ একর জমিতে শুধু শরিফা ফলের বাগান করেছি। দুই বছর এক মাস বয়সী শরিফা গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে। বাজারে এ ফলের চাহিদা অনেক, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এবার অনেক টাকার শরিফা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। আমার দেখাদেখি অনেকেই শরিফা চাষ করার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমি তাদের সহযোগিতার করছি। প্রতিদিন ছয়জন শ্রমিক আমার বাগানে কাজ করেন। এ ফল দেশের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব।’ মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ওবায়দুল ইসলাম একজন প্রতিশ্রুতিশীল কৃষক। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মিশ্র ফলবাগানটি গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে অপ্রচলিত শরিফা ফলটি আমার জানা মতে তিনিই মাগুরায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন। একই বাগানে মিশ্র ফল হিসেবে চাষ করেছেন পেয়ারা, থাই কুল, পেঁপে, মাল্টাসহ অন্যান্য ফল। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও এ ফল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’

সর্বশেষ খবর